সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সল্ফ্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াবের সভাপতি ও টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াবের সহ–সভাপতি ও ডেইলি নিউএজ প্রকাশক এ এস এম শহীদুল্লাহ খান, নোয়াবের সদস্য ও প্রথম আলো সম্পাদক এবং প্রকাশক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান চৌধুরী, ভোরের কাগজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তারিক সুজাত, ডেইলি ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং বণিক বার্তা সমঙাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারমাধ্যম সংক্রান্ত বিবেচনাধীন পাঁচটি আইনের খসড়ার ওপর নোয়াবের মতামত লিখিত আকারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়। এসব আইন চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
পরে সংবাদপত্র শিল্পে বিদ্যমান বিভিন্ন সংকট ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন নোয়াব নেতারা। একইসঙ্গে উল্লিখিত পাঁচটি আইনের খসড়ার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ এই সংক্রান্ত বিদ্যমান বিভিন্ন আইনকে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করাসহ সংবাদপত্রের বিকাশের পথে অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেন নেতারা। এসব বিষয়ে তাঁরা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতা কামনা করেন।
ওবায়দুল কাদের সংবাদপত্রের সংকটগুলো নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যম নিবর্তনমূলক আইন এবং এগুলোর অপব্যবহারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান।
নোয়াব সভাপতি এ.কে. আজাদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দুইটি বড় সংকট চলছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে কাগজের মূল্য দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। এতে সংবাদপত্র ছাপানোর কাগজ আমদানি খরচের পাশাপাশি প্রকাশনা ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে। স্থানীয় কাগজ মানসম্মত না হওয়ার কারণেই বিদেশ থেকে এই কাগজ আমদানি করতে হয়। এর ওপর পত্রিকা বিক্রির কমিশন ও ভ্যাট–ট্যাক্সও থাকায় সংবাদপত্রগুলোকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।