সড়ক দুর্ঘটনা ৫০% কমানোর চেষ্টায় সরকার : কাদের

| রবিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর চেষ্টায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার দুপুরে ব্র্যাক-বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার জানিয়ে কাদের বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজি অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সড়ক নিরাপত্তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এখনও আমাদের বড় দুর্ভাবনা। কিছু পদক্ষেপ সংখ্যাগতভাবে কমিয়ে আনলেও প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। আমার প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে। তখন নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয় হয়।
তিনি বলেন, সরকার এখন যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তা আরও ৩০ বছর আগে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। সে সময়ের সরকারগুলো তা চিন্তায় আনেনি। বিগত কয়েক বছরেও যোগাযোগ-অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমাদের প্রচেষ্টা থেমে নেই। আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালকের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বরোপ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে সরকার পেশাজীবি গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়িয়ে চলেছে। এ সুবিধা পর্যায়ক্রমে আমরা উপজেলা পর্যন্ত বাড়াবো। বিগত দুই অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় এক লাখ পঁচাত্তর হাজার পেশাজীবী চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
নারী গাড়ি চালক তৈরির সুযোগ বাড়ানোর কথা জানিয়ে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গাড়ি চালনায় পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সাবধানী এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সরকার অধিকসংখ্যায় নারীচালকের সংখ্যা বাড়াতে চায়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেসরকারি পর্যায়ে ব্র্যাক এবং বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ যুক্ত হলে যে কোন লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়। আমার বিশ্বাস, এ কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হলে এবং সরকারের বাস্তবায়নাধীন কাজ শেষ হলে ফ্যাটালিটি রেইট অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর আগেই অর্জন সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার চাইলো বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধক্যান্সার হাসপাতালে আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশনের ৫ লাখ টাকা অনুদান