কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামীকাল। তবে ঈদ সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়ার পরপরই পাল্টে যাচ্ছে নগরীর চিত্র। গতকাল থেকেই বসেছে ৬টি পশুর বাজার। রাস্তা-ঘাটেও অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোন তাগিদ ছিল না।
গতকাল সোমবার কঠোর লকডাউনের ১২তম দিনে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং অলি-গলির মোড় পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ব্যস্ততম আগ্রাবাদে রাস্তার দুইপাশে ভাসমান হকাররা নানান রকম পণ্য বিক্রির জন্য বসেছেন। অলি-গলি ও মোড়গুলোতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকানও খোলা ছিল। সড়কে ছিল রিকশার রাজত্ব। কঠোর লকডাউনের মধ্যে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানান অজুহাতে কিছু কিছু এলাকায় সিএনজি ট্যাঙিও চলেছে। তবে বিকাল ৫টার পর থেকে দোকান বন্ধ করতে পুলিশ কঠোর হয়ে উঠে।
নগরীর কাজির দেউড়ি এবং রিয়াজউদ্দিন বাজারের কাঁচাবাজারের প্রবেশ পথে দেখা গেছে, ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকবে বলে ডিজিটাল ব্যানার ঝুলানো হয়েছে। প্রবেশ পথে দেখা গেছে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। হাজারো মানুষ বাজার করছেন। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কোনো কড়াকড়ি নেই প্রশাসন কিংবা বাজার কর্তৃপক্ষের। একইভাবে জটলা দেখা গেছে নগরীর টেরিবাজার, হাজারী গলি, আসকারদিঘীর পাড়, পাথরঘাটা, কোতোয়ালির মোড়সহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কঠোর বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এসময় সরকারি বিধিনিষেধ মেনে না চলার কারনে বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মামলা করার পাশাপাশি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন তারা।