সড়ক ও ফুটপাত দখল করে দুই পাশে অর্ধশতাধিক দোকান

মীরসরাই-ফটিকছড়ি সড়ক

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

আবাসিক ও বাণিজ্যিক সব বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত মীরসরাই পৌর সদর হয়ে যাওয়া মীরসরাইফটিকছড়ি সড়কটি। তবে এর মীরসরাই অংশের প্রবেশপথে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে দুই পাশে অর্ধশতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানের জন্য ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি মীরসরাইফটিকছড়ির ২৯ কিলোমিটার পার্বত্য এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এর ফলে প্রতিনিয়ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন পথচারীরা। অভিযোগ আছে অবৈধ দোকানগুলো থেকে দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা আদায় করে থাকে একটি চক্র।

জানা গেছে, সড়কটির প্রবেশপথ থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে রয়েছে মীরসরাই ডিগ্রি কলেজ ও মীরসরাই স্টেডিয়াম। সড়কের মুখেই রয়েছে মীরসরাই কাঁচাবাজার ও উপজেলা ডিজিটাল পোস্ট অফিস। গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠান থাকার পরও সড়কের মুখে দুই পাশে বেশ জোর খাটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী দোকান। যার ফলে যানজট ও নাগরিক বিড়ম্বনা এখানে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চোখের সামনে পোক্ত প্রমাণ থাকতেও নীরব সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, কাঁচা বাজারের জন্য নতুন শেড নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ মাছ বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতাসহ কলেজ রোডের মুখ থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত পুরোটাই দখল করে রেখেছে হকাররা। এদের সবাইকে নবনির্মিত ভবনে তোলার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ যেন তা বেমালুম ভুলে বসে আছে।

এক দোকান মালিক বলেন, এখানে ৩০টি মতো দোকান রয়েছে। দোকানিদের ব্যবসা হোক বা না হোক দৈনিক ভিত্তিতে টাকা দিতে হয় বাজারের ইজারাদারকে। দোকান অনুযায়ী দৈনিক ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় এসব অস্থায়ী দোকান থেকে।

আশরাফ নামে এক ভুক্তভোগী পথচারী জানান, সরকারি রাস্তায় দোকান বসিয়ে এভাবে টাকা নেওয়া অন্যায়। সরকার তো ইজারাদারকে বাজারের বাইরে সড়কে দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করতে বলেনি। সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম (উত্তর) এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, এসব অবৈধ দোকানের কারণে মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে পারেন না। পাশে একটি ফুটওভার ব্রিজ, সেটিও ব্যবহার করতে পারছেন না। দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে। তার আগেই সড়কের দুই পাশ দখলমুক্ত করা হবে।

এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যেকোনো সময় অভিযান পরিচালিত হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় এমপি নদভীর ত্রাণ ও অর্থ বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি ডেঙ্গুর মতো ভয়ঙ্কর