সড়কে শৃংঙ্খলা আনতে ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ

কাপ্তাইয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুল

রাউজান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে অজ্ঞ, গাড়ি চালনায় অপরিপক্ক চালকদের জন্য দেড় ঘন্টার এক ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম। তিনি গত দুই মাস থেকে একাজ করে প্রায় সাত শতাধিক চালককে বিভিন্ন পয়ন্টে জড়ো করে হাতে কলমে বুঝিয়েছেন ট্রাফিক সিগন্যাল, শিখিয়েছেন পার্কিং করা ও গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুন। এই পুলিশ সুপার নিজ দায়িত্বের বাইরে স্বপ্রণোদিত হয়ে একাজ করছেন। স্থানীয় জনসাধারণ ও গাড়ি চালকরা বলেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা কাপ্তাই সড়কের যানজটপূর্ণ এলাকায় যানজটমুক্ত করতে নিজেই সড়কে পাশে রশি টাঙ্গিয়ে সুশৃংঙ্খল পার্কিং ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সড়কের শৃংঙ্খলা মেনে চলতে গাড়ি চালকদের সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডেকে সড়ক আইন মেনে চলার জন্য চালকদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
সড়ক পথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগ সড়ক পথে শৃংঙ্খলা ফিরে এসেছে। গত দুই মাসে এখানে কোনো দুঘর্টনা ঘটেনি। যত্রতত্র পার্কিং,রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো কমে গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পাহাড়তলী চৌমুহনীতে ২০ থেকে ২৫ জন চালককে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গেছে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীমকে। এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা কয়েকজন চালক বলেছেন তারা গাড়ি রেখে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ব্যতিক্রমী এই প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক সহকারী পুলিশ সুপার আজাদীকে বলেছেন, সড়কের বিশৃংঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি নিজে থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করছেন সেখানেই চালকদের এক জায়গায় ডেকে জড়ো করে তাদের শৃংঙ্খলা মানার নিয়ম শিখিয়ে দিচ্ছেন।
যারা একেবারে অসচেতন বা আইন মানতে চাচ্ছে না তাদের সড়ক আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ছোট বড় সব গাড়ির চালকরা। তিনি জানান এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে কাপ্তাই সড়কের শুরু থেকে চন্দ্রঘোনা পর্যন্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরশীদ হায়দার : মুখ ও মুখশ্রী
পরবর্তী নিবন্ধজেল হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়