চকরিয়ায় শিকলঘাট-মানিকপুর সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ‘ছারপোকার’ তিন যাত্রী এবং মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে সশস্ত্র ডাকাতদল। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে হাত-পা বেঁধে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় ফেলে যায় ডাকাতরা। পরে পুলিশ তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী জানিয়েছেন, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সড়কের মানিকপুর বাদশার টেক থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে পুইট্যারছড়া নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কালা সিকদার পাড়ার মৃত আবু তাহেরের ছেলে আমিরুল ইসলাম দুলু (৫৫) ও তার শ্যালক মানিকপুরের মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে অলিদ উল আজিম (৫০)। তবে ‘ছারপোকার’ তিনযাত্রীর নাম ও চালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পরে আমিরুল ইসলাম দুলু বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি ৭-৮ জন অজ্ঞাত ডাকাতকে আসামি করেন। ভুক্তভোগী আমিরুল জানান, চকরিয়া পৌরশহরের সবুজবাগ থেকে তাঁর শ্যালক অলিদ উল আজিমকে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে মানিকপুর যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা মানিকপুর সড়কের বাদশার টেক এলাকায় পৌঁছলে মুখোশধারী ৭-৮ জন ডাকাত সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তাকে (দুলু) লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে হাত ও মুখে রক্তাক্ত জখম হন। এরপর তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, নগদ কয়েক হাজার টাকা লুট করে। তিনি আরো জানান, একই সময়ে আরেকটি যাত্রীবাহী গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়ির তিন যাত্রীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেয় ডাকাতরা। পরে তাদেরকে (দুলু ও আজিম) হাত-পা বেঁধে বাদশার টেক থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে পুইট্যারছড়া নামক পাহাড়ের নির্জন স্থানে ফেলে যায়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, বুধবার রাতে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, মানিকপুর সড়কটির ডাকাতির স্পট। অতীতে রাতের বেলায় সার্বক্ষণিক পুলিশের পাহারা থাকলেও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না। এই সুযোগে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘মানিকপুর সড়কে বুধবার রাতে সংঘটিত ঘটনাকে ডাকাতি বলার সুযোগ নেই। হয়ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপরও লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’