কক্সবাজারের চকরিয়া ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সীমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকায় বিজিবির বাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় যাত্রীবাহী লেগুনা ধাক্কা খেয়ে সড়ক থেকে খাদে পড়ে যায়। এমনকি লেগুনার উপরের অংশ উপড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর কিশোরীসহ তিনজন মারা যায়। গতকাল শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের জাঙ্গালিয়া সীমান্ত গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহত সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।
নিহতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলী রোড পাড়ার মো. আবুল বাছিরের পুত্র মো. হামিদুল্লাহ (২৯), একই এলাকার লাল মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২১), উত্তর হারবাং করমুহুরী পাড়ার দানু মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম (৩৪), সাত নম্বর ওয়ার্ডের হারবাং আশ্রয়ণ
প্রকল্প এলাকার মো. সরোয়ারের মেয়ে নার্গিস আক্তার মায়াবী (১৫) ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জানার ঘোনার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ রাসেল (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজারমুখী বিজিবির বাসের (চট্টমেট্রো–স–১১–০০৪১) সাথে বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী লেগুনার (চট্টমেট্রো–ছ–১১–৪২৩৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার
করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ সময় সড়কের দুই প্রান্তে অসংখ্য গাড়ির জটলা হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে কিছুক্ষণ পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম এবং চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা খোকন রুদ্র জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে দুজনসহ দিনের বিভিন্ন সময় আরো তিনজন, মোট পাঁচজন নিহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মহাসড়কের বানিয়ারছড়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী আজাদীকে বলেন, দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি তাদের হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।







