হাটহাজারীতে মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে গুলি চালিয়ে এক বিএনপি নেতাকে হত্যা করেছে। নিহত আবদুল হাকিম (৪৬) হামিম এগ্রোর স্বত্বাধিকারী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলায় মদুনাঘাট এলাকার চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের হাটহাজারী অংশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল হাকিম রাউজান উপজেলার পাঁচখাইন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আলী মদনের পুত্র। জানা যায়, বাগোয়ানের পাঁচখাইন গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার পথে মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে হাটহাজারী অংশে পেছন থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা নগরমুখী প্রাইভেটকারটির (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৬ ০৯৪৯) গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে পড়ে। এতে কারে থাকা রাউজানের বিএনপি নেতা হামিম এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আবদুল হাকিমসহ অপর তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শিকারপুর ইউনিয়নের কুয়াইশ এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আবদুল হাকিম মারা যান। উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, এ ঘটনায় আহত অপর তিনজন বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর রাউজানের বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা নোয়াপাড়া পথের হাট ও মুন্সির ঘাটায় সমাবেশ করেন। এ সময় দুটি সড়কে যানজট হয়। পরে পুলিশ এসে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
জানা যায়, এক ছেলে ও দুই কন্যার জনক হাকিম আলী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে থাকা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। প্রথম জীবনে তিনি হারবাল ঔষধ ব্যবসায় জড়িত থাকলেও পরে বাড়ির কাছে প্রতিষ্ঠা করেন হামিম এগ্রো নামে একটি গরুর খামার।
রাউজান থানার ওসি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারী এলাকায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডিনিউজ জানায়, জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক আজিজ বলেন, তাকে বহনকারী প্রাইভেটকার আটকে মোটরসাইকেলে করে আসা কিছু দুর্বৃত্ত বাইরে থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান হাকিম। গুলিতে তার গাড়ির চালক মোহাম্মদ ইসমাইলও আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।