সড়কের পাশে পড়ে ছিলেন অচেতন ব্যবসায়ী, পরে মৃত্যু

নিখোঁজ হয়েছিলেন একদিন আগে

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর সড়ক থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয় গরু ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব (৫৫)। কিন্তু উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহত আইয়ুব রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সাবেক রাঙ্গুনিয়া গ্রামের কবির আহমদের ছেলে। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মো. আইয়ুবের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, আইয়ুবকে গত ১৯ ডিসেম্বর কাপ্তাইয়ে গরু ক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে চন্দ্রঘোনা হাশেম খাল এলাকা থেকে অচেতন ও আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। সেই সময় প্রায় ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার জ্ঞান ফিরে। এই ঘটনায় আদালতে আইয়ুব নিজে বাদী হয়ে তার ব্যবসায়ীক সহকর্মী চন্দ্রঘোনা কদমতলী এলাকার দিলীপ ঘোষ (৫২) ও তার স্ত্রী সুনিতা ঘোষকে (৪৭) অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছিলেন। ঘটনার জন্য আইনী সহায়তা নিতে গত শুক্রবার রাঙ্গুনিয়া থানায় যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে রাত ৮ টা পর্যন্ত পরিবারের লোকজনের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হয়। কিন্তু এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছেন, আইয়ুব সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সড়কের পাশে তার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তখন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমা আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামীকে যারা আগে অপহরণ করেছিল তারাই এবারও অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অচেতন ঔষধ সেবনের ফলে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাক-জিপগাড়ির সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২
পরবর্তী নিবন্ধসন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির কারণে দেশে স্থিতিশীলতা