ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়াহাট থেকে পার্বত্য প্রবেশদ্বার ও ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির প্রধান প্রবেশ পথ এই বারইয়াহাট। এছাড়া রামগড়, ছাগলনাইয়া, করেরহাট সহ বিশাল অংশের বিকল্পহীন সড়কও এটি।
বারইয়াহাট থেকে করেরহাট প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের অনেক অংশই এখন খারাপ হয়ে গেছে। কিছু অংশ সাময়িক সংস্কার করলেও এখনো হয়নি বারইয়াহাট পৌর এলাকার কোয়ার্টার কিলোমিটার মহাদুর্ভোগের অংশ। মহাসড়কের মূল ট্রাফিক মোড় থেকে কলেজ গেট পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়ে এখানে সৃষ্টি হয়েছিল ছোটবড় গর্ত। এসব গর্ত বড় হয়ে এখন মরণফাঁদে রুপান্তর হয়েছে। সম্প্রতি প্রায়শই এখানে আটকা পড়ছে ভারি হালকা বিভিন্ন যানবাহন ও মালবাহি গাড়ি। দুর্ভোগের কবলে পড়ছে চলাচলকারী সকলে। গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, খাগড়াছড়িগামী একটি ট্রাকের পেছনের চাকা রীতিমতো গর্তে আটকে এক ঘন্টা যুদ্ধ করে উদ্বার করেছে নিজেকে। ট্রাক চালক এমরান মিয়া ( ৪৫) বলেন, গত কয়েক বছরে এমন ভোগান্তিতে আর পড়তে হয়নি। পাশের স’মিল থেকে কিছু গাছ, ইট ও বালি কিনে এখানে দিয়ে ট্রাকটি গর্ত থেকে তুলি।এসময় প্রত্যক্ষদর্শী পথচারি রশিদুল হাসান বলেন- মীরসরাইয়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বারইয়াহাটের ইসলাম মার্কেট অংশে বালুভর্তি ট্রাক সড়কে বিকল হলে যাত্রী, পথচারি ও চালকদের চরম দুর্ভোগ দেখে খারাপ লাগছিল। এই সড়ক দিয়ে অনেকদিন ধরেই কষ্ট করছে সবাই, যেন সড়কটির কোন অভিভাবক নেই। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন- বৃষ্টি বন্ধ হবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এই সড়কটি শীঘ্রই সংস্কার করে সকল ভোগান্তি দূর করা হবে দু’একদিনের মধ্যেই।