ফটিকছড়িতে ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানোর সময় ধানবাহী চাঁদের গাড়ির ধাক্কায় দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয় আরও একজন। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ফটিকছড়ির সিএন্ডবি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, পাইন্দং ইউনিয়নের শ্বেতকুয়া গ্রামের আবুল বশরের মেয়ে মিশু আকতার (১৭) ও মোহাম্মদ লোকমানের মেয়ে নিশা মনি (১৮)। তারা দুইজনই হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এতে সড়কেই দুই স্কুল ছাত্রীর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে উত্তেজিত ছাত্র ও জনতা। এসময় জেলা ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিএ নিখিল চাকমা ও সার্জেন্ট আল আমিন ভূজপুর থেকে নাজিরমুখী একটি ধানের বস্তাবাহী চাঁদের গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেয়। গাড়ি না থামিয়ে চালক দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ট্রাফিক পুলিশ ধাওয়া করলে গাড়িটি পেলাগাজীর দীঘির উত্তর পাড়ে সিএন্ডবি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় দুই স্কুল ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই ছাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় একজন। দুই ছাত্রীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরী।
এদিকে ঘটনার পরপর উত্তেজিত ছাত্র ও জনতা ধাওয়াকারী ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং একটি ভাংচুর করে। তারা চট্টগ্রাম -খাগড়াছড়ি মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ফটিকছড়ি থানার ওসি, ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পুলিশ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।












