বোয়ালখালী উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার হলো শাকপুরা বাজার। এই বাজারটি প্রতিদিন হাজারো মানুষের কেনাকাটা ও চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু হলেও এটির অবস্থান সরাসরি মূল সড়কের পাশে হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়ছেন পথচারী, শিক্ষার্থী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন। বাজারের অনেক দোকানদার অস্থায়ীভাবে সড়কের পাশ দখল করে পসরা সাজান, ফলে রাস্তার দুইপাশ সবসময় অবরুদ্ধ থাকে। যানবাহন চলাচলে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। বিশেষ করে সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বুধবার বাজার মিলিত হয় বিধায় বিকেল তিনটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশ ঘেঁষে প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে বাজারের অবস্থান। ক্রেতারা সড়কে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে গাড়ি চলাচলে বিঘ্নতা দেখা দেয়। এতে দীর্ঘক্ষণ যানজটে বসে থাকতে হয় যাত্রীদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থায়ীভাবে বাজার বসার কোনো জায়গা না থাকায় সড়ক ঘেঁষে বসতে হয় বিক্রেতাদের। এতে সপ্তাহে দুইদিন দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ক্রেতারা সড়কে দাঁড়িয়ে বাজার করেন বিধায় যান চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে অনেকে সময়মতো গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারেন না। গুরুতর রোগী নিয়েও অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ। স্থানীয়দের দাবি, সড়ক ঘেঁষে বাজার বসায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে অনেক মানুষ নিহত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সড়ক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাজারটি নিরাপদ স্থানে বসানোর দাবি তাদের। আর যতদিন সড়কের পাশে বাজার থাকে, ততদিন বসানো হোক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ টিম।
সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া শাকপুরা বাজারে যানজট থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব বলেই মনে করছেন সচেতন মহল। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে বলেও মনে করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ বলেন, বাজারটি কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সড়কের পাশে কিছু জায়গা আছে, যা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা পরিদর্শনে আসবে বলেছিল। তারা আসলে একটি ব্যবস্থা শীঘ্রই হয়ে যাবে।












