স্থপতি আশিক ইমরান দৈনিক আজাদীকে বলেছেন, জোয়ারের পানিতে নগরীর নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত কয়েক বছর থেকে আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করছি। জোয়ারের পানি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) স্লুইচ গেট নির্মাণ করছে। এখনো সেই কাজ চলমান আছে। স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজের জন্য কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে। সেগুলোর কারণে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে স্লুইচ গেট নির্মাণ শেষে টাইডাল রেগুলেটর বসানো হলে জোয়ারের পানি প্রবেশ ঠেকানো যাবে। এটি ছাড়াও আরো অনেকগুলো কাজ করতে হবে। বিশেষ করে কর্ণফুলী ড্রেজিংটা খুব বেশি জরুরি।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী তলদেশে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত পলিথিনের আস্তর পড়েছে। এখন সেগুলো পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে। ড্রেজিং করতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এখনো বিভিন্ন খালের মাধ্যমে কর্ণফুলীতে পলিথিন পড়ছে। আমাদের নগরীতে ওই অর্থে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নাই। কর্ণফুলী ড্রেজিং ছাড়াও কর্ণফুলীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এছাড়া জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা যাবে নগরবাসী জোয়ারের পানির চাপ ও জলাবদ্ধতা থেকে তত দ্রুত মুক্তি পাবে।