স্যাটেলাইট-নিয়ন্ত্রিত মেশিনগান দিয়ে ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা

| মঙ্গলবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে ‘স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত আধুনিক পদ্ধতির’ মেশিনগান এবং ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র সাহায্যে দূর থেকেই হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক ঊর্ধ্বতন ইরানি কমান্ডার।
ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে রোববার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেভ্যলুশনারি গার্ডসের ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাভি বলেন, ঘটনাস্থলে কোনো সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল না। ফাখরিজাদেহ গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওই সময় একটি অস্ত্র তার দিকে তাক করা হয়। যেটিতে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা লাগানো ছিল এবং সেটি তার ওপর জুম করা হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, মেশিনগানটি একটি পিকআপ ট্রাকের ওপর রাখা ছিল এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। মেশিনগান থেকে শহীদ ফাখরিজাদেহকে লক্ষ্য করে ১৩টি গুলি ছোড়া হয়। এই অভিযানের সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চেহারা দেখে চিনতে পারার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। একই গাড়িতে ফাখরিজাদেহের কাছ থেকে মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার দূরে তার স্ত্রী বসে ছিলেন। তার গায়ে কোনো আঘাতই লাগেনি।
ফাখরিজাদেহ ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন’ এমন খবর ইরানের হাতে আগেই ছিল। তাই তার নিরাপত্তায় দেশটি সব ধরনের ব্যবস্থায়ই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানী তেহরানের কাছে একটি মহাসড়কে চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হন ফাখরিজাদেহ। ফাখরিজাদেহের ওপর এ হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত আছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে ইরান। এর আগেও ইরানের চার পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে মোহসেন ফাখরিজাদেহর নাম বলেছিলেন। সে সময় তিনি ‘এই নামটি মনে রাখতে’ বলেছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতে ‘রহস্যময়’ অসুস্থতায় তিনশ হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধড. রশীদুন্নবীর ইন্তেকালে চবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ