চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভেজাল খাবার রোধসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত খাদ্য যদি নিরাপদ হয় তাহলে দেশের অভাব মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনমানের উন্নয়ন জরুরী। নইলে মেধাবী ও বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নেতৃত্ব পাওয়া যাবে না। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের আয়োজনে ও গ্লোসি মিডিয়ার বাস্তবায়নে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূলভিত্তি। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরীতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সর্বসাধারণের মাঝে শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টিতে একযোগে কাজ করতে হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দারের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এএফএম জাহিদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াই নু মং মারমা। বক্তব্য রাখেন মশিউর রহমান দেওয়ান, এস.এম সাহিদুল ইসলাম, কাজী মাসুদুল আলম, প্রবীর মিত্র, সৈয়দ আকবর, টিটু কান্তি পাল, গাজী নূর হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারীরারা অংশ নেন। কর্মশালা উপলক্ষে নগরীর নিউমার্কেট মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












