বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েসনের আহবায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরী বলেছেন, স্ব-স্ব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়না। প্রতিটি ধর্মই তার ধর্মীয় অনুসারীদের ভালো কাজের নির্দেশ দিয়ে খারাপ থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন।
কঠিন চীবর কোনো নির্দিষ্ট উক্তি নয় বরং এটি একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত ভগবান গৌতম বুদ্ধের মূল শিক্ষা হলো সকল প্রকার বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ এবং নির্বাণ অর্জন। কঠিন চীবর অনুষ্ঠান হলো বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুদের চীবর প্রদানের একটি বিশেষ প্রথা, যা নৈতিকতা, শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বিবিবিলা শান্তি বিহার ও সমাজ কল্যান কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত কঠিন চীবর দান ও সদ্ধর্ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষক রাজীব কান্তি বড়ুয়া ও এড.পলাশ বড়ুয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপসংঘরাজ সদ্ধর্মনিশি ধর্মদর্শী মহাথেরো।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান।
আসলাম চৌধুরী আরো বলেন, এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব কথার কোন ভিত্তি নেই। আমরা দিনশেষে সবাই একই পরিবারের সদস্য। দীর্ঘ ১৭বছর আমরা আওয়ামী দুঃশাসনের কারনে রাজনীতি, ধর্মীয় অনুষ্টান প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্হ হয়েছে। জুলাই অভূত্থানের পর আমরা সে স্বাধীনতা পুরনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য একটি শ্রেনী বৈষম্যবিহীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ ও তারই উত্তরসূরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতে ৩১দফা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মান করা।জাতি ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এতে শরীক হবার আহবান জানান তিনি।
পরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান ও পিণ্ডু দানসহ নানা ধর্মীয় দান ও স্বধর্ম শ্রবণ করেন বৌদ্ধ নর–নারীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে নারী–পুরুষ, ভিক্ষু ও উপাসক–উপাসিকারা অংশ নেন এই ঐতিহ্যবাহী দানোত্তম অনুষ্ঠানে।