স্বৈরাচার আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে সামপ্রদায়িকতা সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর হিন্দু সমপ্রদায়ের উপর নির্যাতন করেছে। বিএনপি সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। যেখানে ধর্মে ধর্মে কোনো বিভেদ ও ঘৃণার কোনো রাজনীতি থাকবে না। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের মানুষের পাশে রয়েছে। ধর্মীয় পরিচয়ে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই বাংলাদেশি।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর আন্দরকিল্লা জেএমসেন হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্কর বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে–এটাই বিএনপির নীতি ও রাজনীতি। স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় বাংলাদেশি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমালের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সদস্য বিপ্লব পার্থের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য খোরশেদ আলম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন আলি নূর, সৈয়দ আবুল বসর, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, আর কে দাস রুপু, এড. নিখিল নাথ, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, বাপ্পি দে, উজ্জল বরণ বিশ্বাস, বাবলু নাথ, দিপক চৌধুরী কালু, অসিম বনিক, সন্জয় ধর সনজু, মিঠুন দাস, সদস্য সাজু দাস, সুকান্ত মজুমদার, রাজু দাস, সুজন ধর, জীবন মিত্র রাজ।