কর্ণফুলীতে নির্বাচনী সহিংসতায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রমজান আলী (৩৫) খুনের মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম হৃদয়কে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার উত্তরা থেকে প্রধান আসামি শহিদুলকে গেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে তিনি তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। বাকি আসামিদেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তারের পর প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম আদালতে নেয়া হলে পুলিশ তাকে ৫ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গতকাল থেকে তার রিমান্ড শুরু হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল একই এলাকার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামের শফিউল আলমের পুত্র। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় শেষ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও কথাকাটি হয়।
পরবর্তীতে ভোটগ্রহণের পরদিন রাতে এজহার নামীয় প্রধান আসামি শহিদুলসহ কয়েকজন মিলে রমজান আলীকে ধাওয়া দিয়ে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই ৩ ভাইসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।