ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন বলেছেন, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত নগরবাসীর চিকিৎসা সেবায় চিকিৎসকদের শতভাগ উজাড় করতে হবে। মানুষের অসহায় মুহূর্তে একজন ডাক্তারই পারেন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একজন রোগীকে সুচিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে পরিবার পরিজনকে স্বস্তি দেয়ার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরে প্রসূতি মা’দের পছন্দ মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল। এ হাসপাতালকে নবরূপে সজ্জিত ও আধুনিকায়ন করে পূর্বেকার ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি চিকিৎসক, নার্সদের মানবসেবায় শতভাগ আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। গতকাল মঙ্গলবার মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন। এসময় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ইনচার্জ ডা. শাহীন পারভীন, ডা. রাশেদুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ দিদারুল মুনির রুবেল, ডা. হোসনে আরা, ডা. রুখসানা পারভীন, ডা. বাবলী মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে আধুনিক গুণগতমান সম্পন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন, কেবিনগুলো সংস্কার করে উন্নত করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স ও মুমুর্ষ রোগীর জন্য লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেসরকারী হাসপাতালে এধরণের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। তিনি চসিক জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগের চিকিৎসা, দন্ত ও প্রতিবন্ধী চিকিৎসা কর্ণারে এসে নগরবাসীদের চিকিৎসা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। সকালে তিনি মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ও চসিক জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তারা ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে হাসপাতালের ইপিআই কেন্দ্র, প্রসূতি রোগীদের আউটডোর, শিশু আউটডোর, জেনারেল কেবিন, ভিআইপি কেবিন, ডিলাক্স কেবিনে নিয়ে গেলে তিনি আউটডোর ও কেবিনে অবস্থানরত রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কুশলা বিনিময় করেন এবং তাদের সাথে সেবা নিয়ে কথা বলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
