স্বাস্থ্য খাতে কমিশন বাণিজ্য বন্ধ হোক

| শনিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

অন্ধের হাতি দর্শনের মত ধারণা নিয়ে এই দেশের রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছে। বার বার প্রতারিত হওয়ার পরও বুঝতে পারে না যে, তারা কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কমিশনভোগী চিকিৎসকের হয়রানি মূলক চিকিৎসার শিকার। ঔষুধের মান যাচাই ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রয়েছে। কিন্তু তারা কি পুরোপুরি সফল? আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন কিছু ওষুধ কোম্পানীর প্রতারণার শিকার হয়েছি। যে ঔষধ গুলো অনেক দামি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কতৃর্ক অনুমোদিত, এম.বি.বি.এস. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত। অথচ দীর্ঘদিন সেবন করার পরও আরোগ্য লাভ করতে পারিনি। অবশেষে চিকিৎসক পরিবর্তন করে অনেক কম দামি ওষুধ সেবন করে মাত্র ২/৩ দিনের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করলাম। তখন আমি বুঝতে পারলাম, কিছু নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানি তাদের নিম্নমানের ওষুধের মুল্য বাড়িয়েছে কার্যকর ও বড় কোম্পানি হিসেবে জাহির করতে। আর ঐ উচ্চ মূল্যের ওষুধের একটা বড় অংকের কমিশন কিছু নীতিহীন চিকিৎকের ব্যবস্থাপত্রে লিখিয়ে সাধারণ রোগীদের পকেট কাটানোর অনৈতিক ধান্ধায় লিপ্ত রয়েছে। একই অবস্থা ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। রোগীর ব্যবস্থা পত্রের সাথে একটি নির্দিষ্ট ল্যাবের স্টিকার/ লিফলেট হাতে ধরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে চলে এই কমিশন ব্যবসা। রোগী কতটুকু উপকার পেল কি পেল না তাতে কারো কিছু যায় আসে না। এখানে কমিশনটাই মুখ্য বিষয়। একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও দুর্বল থাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ নিজের পকেট ভারি করবে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্য খাতে সকল প্রকার কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
শাহ নেওয়াজ
মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুফিয়া কামাল : নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব
পরবর্তী নিবন্ধহেমন্ত বন্দনা