চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.হাসান শাহরিয়ার কবীরের দপ্তরে বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের অগ্রগতি জানতে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানীর পাশাপাশি এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করাটা দুঃখজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের গুরুত্বকে উপলব্দি করে চট্টগ্রামকে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাই আগামী দিনের চিন্তা চেতনাকে মাথায় রেখে উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ সময়ের দাবি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার লাখ লাখ মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ আরম্ভ হয়নি। যার ফলে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশ যাত্রীর ঢাকা হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে করে চট্টগ্রামের যাত্রীরা হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চট্টগ্রামের যাত্রীরা যাতে চট্টগ্রাম থেকেই নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন।
ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রামের বন্দর পতেঙ্গা এলাকার লাখ লাখ জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
