চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু শারীরিক নয়, আমাদেরকে সামাজিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজির গোল অর্জনে সর্বত্র স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। সকলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী–সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
গত মঙ্গলবার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্যযাত্রা–এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস–২০২৩’ এর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় নগরীর রয়েল রোডের সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এরপর বৃক্ষরোপন ও কেক কেটে দিবসটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে র্যালি, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মো. নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ এম জাহিদুল ইসলাম, এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াই নু মং মার্মা ও প্রধান সহকারী এস.এম সাহিদুল ইসলাম। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বিশ্বকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সকলের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। দেশে সরকারিভাবে স্বল্প খরচে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে নিজেকে সচেতন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাঙ্ক ও ফাস্ট ফুড পরিহারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানে আমাদেরকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে প্রতিটি পরিবারকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












