লকডাউন চলাকালে গতকালও নগরীতে পরিচালিত হয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন, সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষাসহ বিভিন্ন অপরাধে নগরীর ৩০ টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসন জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক ৭ টি মামলায় ৫৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ টি মামলায় ৬০০০ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে জামান হোটেলকে ২০০০ টাকা, নিউ মালঞ্চ রেস্টুরেন্টকে ৫০০ টাকা, ভাতঘরকে ৫০০ টাকা, নূর মোহাম্মদ হোটেলকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক অভিযান চালিয়ে ৯ টি মামলায় ১৫৩০০ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় জালালাবাদ হোটেলকে ৩০০০ টাকা, এরিটস ফুডটসকে ২০০০ টাকা, হোটেল প্যারাগনকে ৫০০০ টাকা, মা কুলিং কর্ণারকে ১০০০ টাকা, সাতকানিয়া কুলিং কর্ণারকে ২০০০ টাকা, ইজি মালঞ্চকে ১০০০ টাকা, হাজী বিরানিকে ৫০০ টাকা ও মালঞ্চকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ ৩ টি মামলায় ২৩০০ টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন ৭ টি মামলায় ১৮০০০ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে শেরে বাংলা রেঁস্তোরাকে ২০০০ টাকা, হানিফ হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্টকে ১৫০০ টাকা, মাওলানা হোটেল এণ্ড বিরানি হাউসকে ১৫০০ টাকা, বাঙ্গালিয়ানা রেঁস্তোরাকে ৫০০০ টাকা, হোটেল হান্নান আল ফয়েজকে ৪০০০ টাকা, হাজী বিরিয়ানি হাউজকে ১০০০ টাকা, উজালা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৩০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ৬ টি মামলায় ৪৭০০ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় একটি জিমকে ৫০০ টাকা, সাহেববাবু বৈঠকখানা ও সি মারমেইড রেঁস্তোরাকে ১০০০ টাকা, পতেঙ্গা রেস্টুরেন্টকে ১০০০ টাকা ও পোড়ামাটি রেস্টুরেন্টকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।