বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে দ্বিতীয় হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রীর পদচারণায় মিনার মাঠে গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে এ বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। ১৯ জুলাই আরাফার দিন পালিত হবে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি দেবেন হাজিরা। দীর্ঘ ৯০ বছরের ইতিহাসে পর পর দ্বিতীয়বার সৌদি আরবের বাইরের কোন দেশ থেকে হজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না কেউ। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গতবছরও একই কায়দায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে মাত্র দশ হাজার মুসলিম নিয়ে হজ সম্পন্ন করা হয়েছিল।
সৌদি আরবের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় মক্কা থেকে মীনায় রওনা হন এবারের হজে অনুমতি পাওয়া মুসল্লিরা। ৫ লাখ ৫৮ হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র ৬০ হাজার মুসল্লি এবার হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। হজের অনুমতি পাওয়া সবাই কোভিড-১৯ টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছেন। বড় ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা নেই-এমন মুসল্লিরা-সুযোগ পেয়েছেন তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত। মিনা থেকে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবেন। এটাকে বলা হয় অকুফায়ে আরাফা। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৯ জিলহজ ভোর থেকে সন্ধ্যা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার নামই হজ। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের অন্যতম ফরজ। এখানে কেউ অবস্থান না করলে তার হজ আদায় হবে না।
যদিও অন্যান্য বছর অধিক সংখ্যক হজযাত্রীর কারণে ভিড় এড়াতে আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকেই হজযাত্রীদের মিনার তাঁবুতে অবস্থান শুরু হয়ে যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রীর অংশগ্রহণে হজ পালিত হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছেন। গত বছর থেকে সে চিত্র পাল্টে গেছে। এবার বিভিন্ন স্থানে হাজীদের সেবা দিতে ৪৫টি স্ট্রোক সেন্টার থাকবে। জাবালে রহমত এলাকায় ২৩টি ও মিনা প্রান্তরে থাকবে ২২টি। এছাড়াও ৪২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থাকবে। হজের স্থানগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করবে ৩২টি চিকিৎসক দল ও ৩৬টি এ্যাম্বুলেন্স।