চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুর রব বলেন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং গবেষকরা অমিক্রনের সাব–ভ্যারিয়েন্টগুলোর উপর নজর রাখছেন। যেমন–জেএন.১, কেপি.৩, জিইস এবং এলবি.১। এগুলো আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক, তবে সাধারণত কম গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে (বিশেষত টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে)। এছাড়া সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বিশেষ করে ২০২৩–২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য বিস্তার করে। এটি ইমিউন ইস্কেপ (অ্যান্টিবডি এড়ানোর ক্ষমতা) বৃদ্ধি করেছিল। এছাড়া কেপি.২, কেপি.৩ সাব–ভেরিয়েন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তরা সাধারণত হালকা সর্দি–কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি অনুভব করেন। এছাড়া জয়েন্ট ব্যথা, অতিদ্রুত ক্ষুধা কমে যাওয়া ও নিউমোনিয়া হতে পারে। আপডেটেড এমআরএনএ টিকা (২০২৩–২০২৪ এর মডিফাইড বুস্টার) জেএন.১ এবং কেপি.২ এর বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দেয়। তবে মনে রাখতে হবে আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক, ক্রনিক রোগীরা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। এখনও গুরুতর অসুস্থতার শিকার হতে পারেন। কোভিড–১৯ পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করুন। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পরিবারের বয়স্ক সদস্য বিশেষ করে যারা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদের যত্ন নিন।