মাস্ক পরা ও স্বাস্থবিধি নিশ্চিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফের অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় এ অভিযান চালানো হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেন। এ সময় পথচারীদের মাঝে ২ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এদিকে প্রথমদিন হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও মাস্ক না পরলেও কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী কয়েকদিন পর থেকে আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। তিনি বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের মাঝে মাস্ক না পরার প্রবণতা বাড়ছে, যার ফলে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। তাই আজ থেকে প্রতিদিন আবারো আমরা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, বিপণি বিতান, শপিং মল ও বাস স্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।
জেলা প্রশাসন জানায়, আজকে প্রথম দিনে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, আগ্রাবাদ মোড়ে মিজানুর রহমান, কোতোয়ালী ও নিউমার্কেট মোড়ে উমর ফারুক, আন্দরকিল্লাহতে মাসুদ রানা, জিইসি মোড়ে নুরজাহান আক্তার সাথী ও চকবাজার এলাকায় সোনিয়া আক্তার অভিযান পরিচালনা করেন।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় সর্বত্র মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গতকাল মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, মাস্ক পরিধান না করা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে। এজন্য নগরীতে ফের মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে তারা কাজ করবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলায় অভিযান চলমান থাকবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম কয়েকদিন কোনো ধরনের জরিমানা বা শাস্তি দেওয়া হবে না। সর্বত্র মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হবে। অভিযান চলাকালে যাদের কাছে মাস্ক থাকবে না তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হবে। এরপরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলগুলোতে সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। এজন্য ১১৩টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে তাদেরকে অবহিত করা হবে। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।