কোভিড প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের আগেই বৈশ্বিক মহামারি কোভিড হানা দেয়। এতে শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, সামাজিক, বাণিজ্যিক সবক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা, চিন্তাভাবনা। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষ মতামত তুলে ধরে বাজেট প্রণয়নকারী মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ানো এবং সে বরাদ্দ ব্যয়ের দক্ষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা। কারণ ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। দেশের সুখ, শান্তি কিংবা উন্নয়ন, যাই চাই না কেন, স্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে যা কখনোই সম্ভব নয়। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতকেও এগিয়ে নিতে হবে।
বর্তমানে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দেশের অন্য জেলাগুলোর মতো চট্টগ্রামেও স্বাস্থ্যখাতে সংকট রয়েছে। সংক্রমণ শুরুর প্রায় ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সংকটগুলো রয়ে গেছে প্রায় আগের মতোই। বিগত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারিখাতে কোথাও সুযোগ বাড়েনি। চট্টগ্রামে আইসিইউ সংকট, অঙিজেনের অভাব, করোনা চিকিৎসায় জনবলের অভাব চোখে পড়ার মতো। প্রাইভেট সেক্টরে নতুন প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করলেও, এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাই শুধু কোভিড নয়, ভবিষ্যতে অনাগত যেকোন মহামারী মোকাবেলায় সমন্বিত পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরা। কাগুজে বাজেট না বানিয়ে বাস্তবভিক্তিক বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।