সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দকৃত বাজেট অত্যন্ত কম, যা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম ক্লাব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এম এ ফয়েজ, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ডা. জসিমউদ্দীন, ডা. তমিজউদ্দীন মানিক, প্রফেসর এহতেশামুল হক, এ টি এম রেজাউল করিম, ডা. আবু নাসেরসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তসলিম উদ্দিন ও ডা. সরোয়ার আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক প্রফেসর মো. জসিমউদ্দীন।
মেয়র উল্লেখ করেন, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ৪১,৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা গত বছরের ৩৮,০৫১ কোটি টাকা থেকে কিছুটা বেশি হলেও মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ২.৬৩ শতাংশ। অথচ বিশ্বব্যাপী গড় ১১% বরাদ্দ করা হয় স্বাস্থ্য খাতে, যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার কম, রোগীর চাপ বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই জনগণ সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রত্যাশিত সেবা পায় না। বাজেটের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, বাজেট বাড়লেও খরচের সক্ষমতা না থাকায় অর্থ ব্যয় করতে না পারা, দুর্নীতি এবং অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে স্বাস্থ্যখাত কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করতে পারছে না। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যখাতের নিবিড় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ওপর, যা তাদের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ না করলে জনগণের উৎপাদনশীলতা কমে যাবে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি স্বাস্থ্য খাতের বাজেট আরও বাড়িয়ে চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।