চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অভ্যন্তরে সরকারি জায়গায় কেন্টিনসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত এবং হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে অস্থিরতার নেপথ্যের কারিগর প্রভাবশালী কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা স্বেচ্ছায় লিখিত বক্তব্যও দিয়েছেন দুদককে। তারা হলেন, হাসপাতালের লিলেন কিপার মো. তৌহিদুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্টাফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি (মেডিকপস্) এবং বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আখন্দ, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান, মেডিকপস্ এর সাধারণ সম্পাদক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন মানিক ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রূপন কান্তি দাশ।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে হাসপাতালে কোন প্রকার অস্থিরতা তৈরি করবেন না মর্মে দুদক কর্মকর্তাকে অবহিত করেন এই ৬ কর্মচারী। পাশাপাশি তারা যখন ডাকবেন তখনই দুদকে হাজির হওয়ার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তাকে আশ্বস্ত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হাসপাতাল অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তারাও এসব প্রতিষ্ঠান হাসপাতালের অনুকূলে নিয়ে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়মমাফিক পরিচালনার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।
এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর হাসপাতাল অভ্যন্তরে কেন্টিন পরিচালনাকারী চারটি সমিতির মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি কল্যাণ তহবিল, স্টাফ ক্যান্টিন ফান্ড, মেডিকফ ও নার্সিং কল্যাণ তহবিলের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত ২৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৯৬ টাকা জব্দ করে দুদক।