স্বার্থপরতা নয়, মানবতা হোক মূল উদ্দেশ্য

রিপন সেনগুপ্ত | সোমবার , ১৪ জুন, ২০২১ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি প্রাণীকুলের মানব জাতি, প্রাণ দেয়া নেয়ার অধিকার একমাত্র স্রষ্টার। মানব দেহে প্রাণ দেয়া নয়, প্রাণ বাঁচানোর বিকল্প এক বন্ধু যার কাজ নিজ স্বার্থত্যাগে পরের জীবন রক্ষা করা। আদি- বর্তমান সভ্যতাই ভিন্ন নাম বৈদ্য- কবিরাজ ও ডাক্তার। যে নামেই রোগীর মনে স্বস্তির নিশ্বাস। শব্দটা ছোট হলেও পড়তে লিখতে কঠোর পরিশ্রম, সময়সাপেক্ষ ও পরিবারের স্বার্থত্যাগের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাচীনে প্রকৃত চিকিৎসা হলেও সংখ্যাটা কম থাকতে অধিকাংশই সেবা বঞ্চিত। আধুনিক নাম পরিবর্তনে সংখ্যা বাড়লেও মূল উদ্দেশ্য প্রায় বিলুপ্ত। শহরে উর্দ্ধগতি আর গ্রামে নিম্ন। পূর্বে গুটিকয়েক বিনয়ী, লোভ হীন নিঃস্বার্থভাবে গ্রামে গরীবের সাহায্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এগিয়ে যেত। পরের প্রাণ রক্ষাতে সময় দিতে নিজ পরিবারের সদস্যদের অর্থকষ্টে বা বিনা সেবায় ধরিত্রী হতে ত্যাগ করতে হতো, সে ব্যক্তি আজ নিম্নগামী। বর্তমানে পেশার সংখ্যা দুই তিনগুণ বাড়লেও মূল মন্ত্র তলানিতে। গ্রামে দর্শন আজ ডুমুরের ফুল, যেখানে বিনা সেবায় অসংখ্য মৃত্যু। বিনা অর্থে সেবা আজ বিলুপ্ত, মনুষ্যত্ব পাষণ্ড। গুটিকয়েকের জন্য পেশা আজ ব্যবসা বান্ধব। গ্রামে অর্থহীন রোগী ডাক্তার পাইনা, আর শহরে অঢেল টাকা ফি দিয়েও রোগীর দীর্ঘ লাইন। টাকা দিলে সেবা, না হয় থাবা। প্রকৃতি বিচার উপর্যুক্ত হয়, মানবজাতি আজ করোনার শিকার। লোভী, ব্যবসা বান্ধব ডাক্তাররা অঢেল টাকা দিলেও আজ চিকিৎসা দিতে অপারগ। কারণ নিজের প্রাণ বাঁচাতে আজ গৃহবন্দি। কিন্তু আজও সাহসী, বিনয়ী, লোভহীনেরা এই সময়ে নিজস্বার্থ ত্যাগে অপরের জীবন বাঁচাতে প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য এই পেশা আজও মানুষের আস্থা। করোনা এই সময়ে সেই সব মানবিক ডাক্তারদের শ্রদ্ধা, যারা নিজ জীবন বাজী রেখে এগিয়ে আসছে মানুষ বাঁচাতে। এই পেশা টিকে থাকুক নিঃস্বার্থ মানবিকতায় আজীবন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩৮ নং ওয়ার্ডবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করুন
পরবর্তী নিবন্ধশেষ ঠিকানা