স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাই তালই-পুতরা মুখোমুখি

বাঁশখালী ইউপি নির্বাচন ।। অনেক প্রার্থীর নেই একটি প্রচারণা পোস্টারও

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৯ জুন, ২০২২ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশিরভাগ হতাহত বাঁশখালীর হওয়ায় এবং বেফাঁস মন্তব্যের জেরে একটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ফলে বাঁশখালী ইউপি নির্বাচনের আমেজ অনেকটা থমকে গেছে। তবে ঘরোয়াভাবে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে অনেক প্রার্থীই। প্রার্থীদের নানান ধরনের দোষত্রুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে একে অপরকে ঘায়েলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। অনেকেই করছেন ছোট ছোট পথসভা।

এ নির্বাচনের আরেকটা উল্লেখযোগ্য দিক হল একই পরিবারের একাধিক প্রার্থী। বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা গেছে স্বামীর বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন স্ত্রী, কোনো ইউনিয়নে দুই ভাই, আবার কোনো ইউনিয়নে একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তালই-পুতরা। তবে মূল প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা, জনসভা-পথসভা নিয়মিত করে গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে একটি প্রচারণা পোস্টারও লক্ষ্য করা যায়নি অনেক জায়গায়।

পুঁইছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরীর (নৌকা) বড় ভাই তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মোটর সাইকেল) প্রার্থী হলেও পোস্টার ছাপা হয়নি, স্বতত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আজিম চৌধুরী (টেবিল ফ্যান) মেয়ের জামাইয়ের ছোট ভাই মো. তারেকুর রহমানের (অটোরিক্সা) সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক কথায় তালই-পুতরা এবং ভাইয়ে-ভাইয়ে ভোট লড়াই করলেও বাস্তবে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেকে বলছেন তালই-পুতরার মধ্যকার লড়াইটা এরই মধ্যে জমে ওঠেছে। ভোটের ভাগাভাগিও হবে সমানে সমানে।

ছনুয়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদের (মোটর সাইকেল) ছোট ভাই মো. আলমগীর কবির (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলেও কোনোরকম প্রচারণা পোস্টার চোখে পড়েনি। ভোটে দাঁড়িয়ে কোনোরকম গণসংযোগ বা প্রচারণা না চালায় ভাইয়ের ডামি প্রার্থী বলে অনেক ভোটারই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অপরদিকে স্বামীর সহযোগী হিসেবে প্রার্থী হয়েছে খানখানাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন হায়দারের (নৌকা) স্ত্রী ইসরাত জাহান পিনন (জোড়া পাতা), কাথরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ইবনে আমিনের (নৌকা) স্ত্রী সেলিনা আকতার শেলী (আনারস) এবং গণ্ডামারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আলোচিত বিএনপি নেতা মো. লেয়াকত আলীর (আনারস) স্ত্রী জেসমিন আক্তার (টেলিফোন) প্রার্থী হলেও তাদের নামে পোস্টার ছাপা হয়নি।

এ ব্যাপারে একাধিক ভোটার নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, এবার ভোট করা অনেক প্রার্থীরই নানান কারণে প্রার্থিতা হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে তাই তারা নিজের বিকল্প হিসেবে স্ত্রী, ভাই বা কোনো নিকটাত্মীয়কে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবিরাজের যাবজ্জীবন ও তিন লাখ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধ৩০ জনকে বাঁচিয়ে পুরস্কার পেলেন চা দোকানদান হানিফ