স্বামী–স্ত্রী দুজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সংসার ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মত তারা এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে চান চাকসু নির্বাচনেও। ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে স্বামী ফরহাদুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন ভিপি পদে, একই প্যানেল থেকে স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা লড়ছেন সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদ প্রার্থী হয়ে।
স্বামী ভিপি পদপ্রার্থী ফরহাদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে আমরা সংসার জীবনের যাবতীয় বিষয় একত্রে সামলাচ্ছি, সেভাবেই এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই–বোনদের পাশে থেকে তাদের জন্য ভালো কিছু করতে পারি মূলত সেই প্রত্যাশা থেকেই এখানে অংশ নিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারব।
পড়াশোনা ও সংসার সামলানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে চান জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, প্রথমত আমি একজন নারী। প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বের হয়ে একজন নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্ট্যান্ডার্ড অবস্থানে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার সক্ষমতা রাখে, সেটি প্রমাণ করা। আমি নারীদের অধিকার আদায়ে কথা বলতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের সমকালীন সমাজ–সংস্কৃতিতে মেয়েদের নিয়ে একটি কথাও প্রায়ই শোনা যায়– ‘এতো পড়াশোনা দিয়ে কি হবে, দিনশেষে তো রান্নাঘরে জীবন!’ এই বদ্ধমূল ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই আমি দাঁড়িয়েছি। কারণ একজন নারীর জীবন রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয়, এর বাইরে আরও বহু কাজ করতে পারেন নারী।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি বিবাহিতা এবং সন্তানের মা। প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জের উত্তরণে আমার শিক্ষার্থী বোনদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার এটি একটি অনন্য সুযোগ। সেই ধারণা থেকে মনে হয়েছে, এখানেও আমি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। তাই আশা করি শিক্ষার্থীদের পক্ষে দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করতে পারব।