গৃহবধূ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহমুদা খানম আঁখির মৃত্যুর ঘটনার মামলায় আইনজীবী স্বামী আনিসুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। গতকাল মহানগর হাকিম আদালতে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। তবে এ বিষয়ে গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, আজ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আঁখি। সেদিন রাতেই আনিসুলকে পাঁচলাইশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, যৌতুক হিসেবে দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় পেটে লাথি মেরে আঁখিকে গুরুতর আহত করা হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয়, এমনটা উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক)/৩০ ধারায় গত সোমবার চান্দগাঁও থানায় মামলাটি করেন আঁখির ভাই মো. মিজানুর রহমান। মামলায় আইনজীবী স্বামী আনিসুল ইসলামের পাশাপাশি তার মা ফরিদা আক্তার ও বোন হামিদা বেগমকেও আসামি করা হয়।
আনিসুল ইসলাম বাঁশখালী উপজেলার উত্তর জলদীর মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পরিবার নিয়ে থাকতেন চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা এলাকার শওকত আবাসিকের মাসুমা খাতুন ভবনের ৩য় তলায়। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। অন্যদিকে আঁখি উত্তর জলদীর সৌদি প্রবাসী মফিজুর রহমানের মেয়ে এবং সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ৩য় বর্ষের ছাত্রী। প্রায় দুই বছর আগে তাঁরা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেন।