স্বামীর সহযোগিতায় ভাশুরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ! এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও তার বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে ফিরিঙ্গিবাজার মসজিদ ভিটা এলাকা থেকে দুই ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ইব্রাহীম রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা কোতোয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার মো. আব্দুল মোনাফের ছেলে। গতকাল দুপুরে দুই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে গত ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলা করেন।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার আজাদীকে বলেন, দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী ২৫ অক্টোবর হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সামাজিকভাবে জনৈক সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয়। সিরাজ বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে রুম অন্ধকার করে বিকৃতভাবে সহবাস করতেন। চোখ বাঁধার কারণে কে সহবাস করতেন তা দেখতে পারতেন না গৃহবধূ। প্রথম দিকে স্বামীই সহবাস করছে বলে মনে করতেন তিনি।
তাই প্রথম দিকে সন্দেহ না করলেও পরে গৃহবধূর সন্দেহ হতে থাকে। ৫ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় অন্ধকার কক্ষে বিকৃতভাবে সহবাস করতে গেলে একপর্যায়ে তার হাতের বাঁধন খুলে যায়। চোখের কাপড় সরিয়ে দেখতে পান ভাশুর ইব্রাহিম রনিকে। এই বিষয়ে স্বামী সিরাজের কাছে জানতে চাইলে উল্টো গৃহবধূকে মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।