তালাক গোপন রেখে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৫ এ মামলাটি দায়ের করেছেন ওই নারী। তবে গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন, নুর আহাম্মদ। চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগে সুপার স্কিল্ড ফিটার পদে তিনি কর্মরত রয়েছেন। আদালত ভিকটিম নারীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নালিশী মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন (রাসেল) দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামী নুর আহাম্মদ ২০২৩ সালের ২ আগস্ট বাদীকে বিয়ে করেন। সংসারও চলমান ছিল। এরমধ্যে গত ৯ মার্চ আসামি বাদীকে তালাক প্রদান করেন। যা কার্যকর হয় গত ১৯ জুনে। আসামি এ সংক্রান্ত কাগজ পান ২৯ জুনে। এরপর গত ২ জুলাই বাদীকে বিষয়টি অবগত করে এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আইনজীবী বলেন, তালাক প্রদান থেকে শুরু করে কার্যকর হওয়া কোনো কিছুই জানতেন না বাদী। তালাক প্রদানের পর বাদীর কাছে নোটিশ যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটিও হয়নি। আসামি কৌশলে বাদীর কাছ থেকে তা গোপন করেছেন। তিনি আরো বলেন, তালাক প্রদানের তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া পর্যন্ত এবং এমনকি গত ২৯ জুনও বাদীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসামি। অর্থাৎ আসামি বাদীকে তালাক দিয়েও তা গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বাদীকে আসামি তার স্বামী বিশ্বাস করিয়ে তার সাথে ৩ মাস ২৪ দিন সংসার ও অসংখ্য বার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে যা প্রকারান্তরে ধর্ষণই। যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৯(খ) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আসামি নুর আহাম্মদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন।