স্বামীর পরনের কাপড় বুকে জড়িয়ে অঝোর ধারায় কাঁদছেন স্ত্রী রানু আক্তার। মায়ের সাথে পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন তার দুই কন্যা। কাঁদছেন ভাই–বোন, পাড়া–প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনসহ সকলে।
বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন মা। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। গত রোববার রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খুন হন প্রবাসী মো. সেকান্দর মামুন চৌধুরী। গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে তার ঘরে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মামুন সরফভাটা ৫নং ওয়ার্ড মেহের বাপের বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্ত্রী রানু আক্তার বলছেন, ঘটনার দিন আসরের নামাজের সময় একটি ফোন এলে তার বুকে জড়ানো কাপড়টি খুলেই বেরিয়েছিলেন তিনি। আর ফেরেননি, ঘাতকরা কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে তাকে। তিন মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ থেকে এসে এক মাসের মাথায় প্রাণ হারিয়েছেন এই প্রবাসী। তাকে যিনি ফোন করে ঘর থেকে নিয়ে গেছেন, তাকে বের করতে পারলেই পরিকল্পিত এই খুনিদের ধরা যাবে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে সোমবার তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আসরের নামাজের পর সরফভাটা মেহেরিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। শেষ বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার জনতা। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাতের মধ্যেই হয়ে যাবে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।