বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে একটি জাতীয় সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং এই সংকট মোকাবেলায় দেশের সত্যিকার বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্বশীল ও সাহসী ভূমিকা অপরিহার্য। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে একই দিন সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। এরপর আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন।
উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, সত্যিকার ইতিহাস জানতে হলে সত্যিকার ইতিহাস জানার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি এ বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত হয় লেখালেখির মাধ্যমে এবং অনেক পত্রপত্রিকা ও লেখক ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী।
সভাপতির বক্তব্যে উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, যারা সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেন তারাই প্রকৃত বুদ্ধিজীবী। তবে আমাদের সমাজে অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন যারা ততটুকুই বুদ্ধিজীবীতা চর্চা করেন যতটুকু করলে তাঁদের সুযোগ–সুবিধা অক্ষুন্ন থাকে।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান। চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।










