বান্দরবানে স্বাধীনতার পঞ্চাশে ৫০ ফুট দীর্ঘ ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে আনার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় গণহত্যা দিবস স্মরণে জেলা প্রশাসন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে আলাদাভাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। পরে তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কায়ছার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন দাস, বান্দরবানের প্রবীণ শিক্ষক দীপ্তি কুমার বড়ুয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সিইয়ং ম্রো, লক্ষ্মী পদ দাস প্রমুখ।
অপরদিকে, সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা বাঙালি জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়। জাতি হিসেবে আমরা আজ দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী ও গণহত্যার শিকার প্রতিটি যোদ্ধাকে স্মরণ করছি। তাদের ত্যাগের ফসল লাল-সবুজের এই বাংলাদেশ।”
তিনি আরো বলেন, “বান্দরবানে যদি কোনো গণকবর থাকে তাহলে সেটি সংরক্ষণ করার মাধ্যমে বধ্যভুমি হিসেবে ম্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”