বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ভাষাসৈনিক অলি আহাদ জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অলি আহাদের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকীতে এক স্মরণ সভায় তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের উচিত তার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেওয়া। খবর বাসসের।
ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) ও অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ যৌথভাবে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএল সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন কাদরী শওকত। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, অলি আহাদের মেয়ে ও বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
ডিএল মহাসচিব খোকন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ব্যারিস্টার ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই সিকদার, বিএনপি জোটের নেতা এ টি এম গোলাম মাওলা, খন্দকার লুৎফর রহমান, মাজাহারুল হক মিঠু, সুজন চক্রবর্তী ও মানবাধিকার কর্মী এম এম জামাল উদ্দিন। আবদুল মঈন খান বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অলি আহাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী ও যৌক্তিক। ভাষা আন্দোলনে সাহসী ভূমিকার জন্য তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলনে অলি আহাদ সবসময় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্তরিকতা, সততা, সত্যবাদিতা ও সাহসিকতার জন্য অলি আহাদ ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তার বাবার স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন মহান নেতা এবং আমার শিক্ষকও। তার পুরো জীবন ছিল সাহস, সততা ও আন্তরিকতায় পূর্ণ। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অলি আহাদ ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী, সাহসী ও সৎ নেতা এবং সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। জুনায়েদ সাকি বলেন, অলি আহাদ রাজনীতি থেকে কোনো সুযোগ না নিয়ে সারাজীবন মানুষের অধিকার ও মর্যাদার জন্য সংগ্রাম করেছেন।