স্বাদে ভরা কিষোয়ানের লাচ্ছা সেমাই

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৯ মার্চ, ২০২৫ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

রোজা কিংবা ঈদ। যেকোনো উৎসব মানেই আনন্দ আর বাহারি খাবারের সমারোহ। সেই খাবারের অন্যতম আকর্ষণ লাচ্ছা সেমাই। ঈদ এলেই লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। সেমাই খাওয়ার মাধ্যমে, পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মিলেমিশে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। এটি শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, বরং এক ধরনের ঐতিহ্য। যা প্রতিটি ঘরে ঈদের খুশির বার্তা এনে দেয়। সেই আনন্দের সঙ্গী হতে কিষোয়ান নিয়ে এসেছে স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই। তাদের লাচ্ছা সেমাই স্বাদ, গুণগত মান ও খ্যাতির দিক থেকে অন্যসব সেমাই থেকে আলাদা। ভোক্তাদের কাছে বেশ কদর রয়েছে।

কিষোয়ান লাচ্ছা সেমাই সম্পূর্ণ অটোমেটেড মেশিনের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়। কোনো ধরনের হাতের স্পর্শের প্রয়োজন হয় না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সেমাইয়ের মান বজায় থাকে এবং তা আরো মচমচে হয়ে ওঠে। খেতেও বেশ সুস্বাদু। এর স্বাদ আর মচমচে গুণমান একে একেবারে অনন্য করে তুলেছে।

লাচ্ছা সেমাই বেশ জনপ্রিয় হলেও এর ইতিহাস নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, ঊনিশ শতকের দিক থেকে ঈদের প্রধান মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাই খাওয়া প্রচলন শুরু হয়। আনুমানিক ৩০৪০ দশক থেকে উপমহাদেশে জনপ্রিয়তা পায় সেমাই। প্রথমদিকে হাতে তৈরি সেমাই কিছুটা ব্যবসায়িকভাবে বিক্রির জন্য তৈরি হতো। পঞ্চাশ দশকের দিকে যে সেমাই তৈরি হয় সেটিই মূলত এখন আমরা সেমাই হিসেবে চিনি। জনশ্রুতি আছে, ঢাকায় আগত অবাঙালি কিংবা আদি ঢাকাইয়ারা প্রথম লাচ্ছা সেমাই তৈরি করে। তবে, আগে এ সেমাই হাতের স্পর্শে তৈরি হতো। সময়ের বির্বতনের এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া আরো সুস্বাদ ও মচমচে তৈরি হচ্ছে। এবার ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু মজাদার খাবার নিয়ে এসেছে কিষোয়ান গ্রুপ। এর মধ্যে কিষোয়ান স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই, নুডলস, হালিম মিক্স, ফিরনি মিক্স, ক্ষির মিক্স, বিরিয়ানির মসলা, ড্রিংস, ম্যানগো ড্রিংস উল্লেখযোগ্য। ভোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে বিভিন্ন মিক্সড মসলা, পাউডার ড্রিংস, বিরিয়ানির মসলা। ঈদে এসব খাবার সবচেয়ে বেশি চলে।

কিষোয়ান ফুডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ কপিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঈদে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে কিষোয়ান স্পেশাল লাচ্ছি সেমাই। সাধারণত অন্যরা হাতের মাধ্যমে খোলাভাবে বানিয়ে থাকে। আমাদের সেমাই তৈরির পদ্বতি একদম ভিন্ন। সম্পূর্ণ বিদেশি প্রযুক্তিতে অটোমোটেড মেশিনের মাধ্যমে সেমাই তৈরি করা হয়। সেমাইয়ের গুণগত মান শতভাগ থাকে। কোনো ধরনের ভেজালের র্স্পশ নেই। তিনি আরো বলেন, বাজারে যতগুলো হালিম মিক্সড রয়েছে সবদিকে আমাদের হালিমের মত কেউ বানাতে পারে না। আমাদের হালিম সবচেয়ে সেরা। যার কারণে ভোক্তাদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁচানো গেল না কাদায় আটকে পড়া হাতিটিকে
পরবর্তী নিবন্ধডিসিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা