খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিবেকানন্দ ত্রিপুরা (৩৬) নামে তারই এক নিকটাত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নিজের আর্থিক দৈন্যতা ঘুচাতে ঈশ্বরী বালার নাক, নাক ও গলায় পরিধেয় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে কিল–ঘুষি মেরে তিনি তাকে খুন করেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গ্রেপ্তার বিবেকানন্দ হতভাগ্য ঈশ্বরী বালার স্বামীর ছোট ভাইয়ের মেয়ের জামাতা। তিনি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার পর প্রথমে কিল ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গেল বুধবার মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন এবং তার দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে জানায়।
উল্লেখ্য, গেল শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
