চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকায় থাকতেন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মঞ্জু সেন। ঘটনার দিন ভোরে হাঁটতে বের হয়েছিল বৃদ্ধা মঞ্জু সেন। আর তার কানে থাকা সোনার দুল, হাতে থাকা আংটি ও মোবাইল দেখে লোভে পড়ে যায় ছিনতাইকারীরা। জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে ঐ বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছিনতাকারীরা।
আর ঘটনার প্রায় ৫ বছরের মাথায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মূলত ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের নগরের সদরঘাট থানার নেভাল-টু ঘাট এলাকায়। প্রতিদিনের মতো ভোরে হাঁটতে বের ঘটনা হন বৃদ্ধা মঞ্জু সেন। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে বাসায় ফিরলেও ঘটনার দিন বৃদ্ধা বাসায় না ফেরায় অনেক খোঁজাখুজির পর ব্যর্থ হন তার পরিবারের লোকজন।
ওইদিনই তার ছেলে রতন কান্তি সেন একটি নিখো*জ ডায়েরি করেন নগরীর কোতোয়ালী থানায়। পরদিন ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত ভবনের পাশের ঝোপঝাঁড়ে বৃদ্ধের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ৩ জন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
রোববার (১০ মার্চ) ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযুক্ত মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪) নামে দুই যুবককের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা। আরেক এক যুবককে খালাস দেন আদালত।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাশাপাশি, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে আব্বাস উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।