স্বপ্ন হোক সম্প্রসারিত : পদ্মা থেকে কর্ণফুলী

কুমার প্রীতীশ বল | মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পদ্মা সেতু আজ বিশ্বের বিস্ময়। এই বিস্ময় অর্থনৈতিকভাবে যেমন সত্য, ঠিক তেমনি বৈজ্ঞানিকভাবেও সত্য। কারণ আমাজানের পরে পদ্মা হলো বিশ্বের অন্যতম ভরস্রোতা নদী। সেই অদম্য পদ্মাকে বাঙালি শাসন করে ফেলেছে। এটা বাঙালির অসীম তেজের প্রকাশ। এ রকম বীর বিক্রমশালী বাঙালি জাতিকে পৃথিবী আরও একবার দেখেছিল, ১৯৭১ সালে। কবি আসাদ চৌধুরীর ভাষায়, ‘সেদিন সত্যি মানুষ ছিলাম।’ কিন্তু কি অদ্ভুদ ব্যাপার! বাঙালির এমন অদম্য মনোবলকে ভেঙে দিতে চেষ্টার কসুর করেনি স্বার্থান্বেষীমহল। একাত্তরেও করেছিল। একাত্তরে ওরা আমাদের রক্ত ঝড়িয়ে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আপসহীন নেতৃত্বের কারণে সেদিন বাঙালির বিজয় রথকে থামাতে পারেনি। বর্তমানে জনক কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় পদ্মা বিজয়কে ওরা থামাতে পারেনি। ওরা কেন বার বার বাঙালির বিজয় রথকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল, এর একটা জবাব তারা মোড়লীপনা অব্যাহত রাখতে চায়। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস বলে, বাঙালি কখনও মোড়লীপনা মেনে নেয়নি। মোড়লীপনা পছন্দ করে না। বাঙালি স্বাধীনতাপ্রিয় জাতি। নিজেদের ভালো মন্দ নিজেরাই ঠিক করে নিতে চায়। একাত্তরে বঙ্গবন্ধরু এবং বর্তমানে জনক কন্যার সময়ে বিরোধীতাকারী স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মোড়ল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু একাত্তরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দাবাইয়া রাখতে পারবা না।’ স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক মোড়ল কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। তারপর রক্তা গঙ্গা বয়ে গেল ‘দাবাইয়া রাখতে’ পারেনি। বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাঙালির এই ছুটে চলাকে থামিয়ে দিতে চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে বিরোধীতাকারী স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মোড়ল।
৭৫কে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ভেবেছিল বাঙালির জয়যাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছে। আপতদৃষ্টিতে তেমনটি মনে হয়েছিল। কিন্তু ওরা জানত না, তোমাকে বধিকে যে গোকলে বাড়িছে সে। শেখ হাসিনা মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় দেশে ফিরে আবার বাঙালির মনে প্রাণ সঞ্চার করেন। কুড়ি বছরের মাথায় সকল ষড়যন্ত্র আর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে জনতার বিজয় ছিনিয়ে আনেন। ভয়াবহ বন্যা হলো। মোড়লরা হুক্কাহুয়া রবে চিৎকার শুরু করে, বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে অনাহারে. অর্ধাহারে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল জনক কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে একজন লোকও অনাহারে. অর্ধাহারে মারা গেল না। গোটা উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গা নামের শব্দটাকেই হটিয়ে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কানেকটিং সেতু বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ হলো যমুনার উপর। জনক কন্য উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুললেন রেল লাইন ছাড়া সেতু পূর্ণতা পায় কি করে? একটি জেলার সঙ্গে একটি জেলার কিংবা একটি উপজেলার সংযোগ স্থাপন করতে হলে শুধু সড়ক পথে কিংবা শুধু রেল পথ দিয়ে সংযোগ স্থাপনে পূর্ণতা পায় না। কথাটা সংশ্লিষ্টদের উপলব্ধিতে আনতে জনক কন্যার সময় লেগেছিল। কারণ এখানেও মোড়লদের বিরোধিতা ছিল। কারো কারো নাকি আবার রেলওয়ের প্রতি এলার্জি আছে। ওরা জানতো না তাদের এলার্জির ওষুধও জনক কন্যার কাছে আছে। তিনি করেই দেখালেন যমুনার উপর রেলসেতু।
জনক কন্যা যা বলেন, তা করেন। তিনি জনক হত্যার বিচার করবেন বলেছিলেন করেছেন। জাতীয় চার নেতা হত্যা বিচার হয়েছে। শুধু ৭৫ নয়, ৭১ এর ঘাতকদেরও বিচার করছেন। এসবে বিরোধিতা ছিল প্রবল। কিন্তু কোনো বাধায় তাঁকে থামাতে পারেনি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাই আজ ফোর জি পেরিয়ে ফাইভ জি’র যুগে প্রবেশ করছে দেশ। ফোর্থ ইন্ড্রান্ট্রি রিভলিউশনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ট্যানেল। অনুন্নত, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। ২০৪১ এর মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নাম লেখাতে পারব। মহাকাশে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে। এসব কিছু্‌ স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক মোড়লদের পছন্দ না। প্রতিটি কাজ মোড়লীপনাকে চ্যালেঞ্জ করে করতে হয়েছে। তাদের দন্ডমুন্ডকে নড়বড়ে করে দিয়েছে জনক কন্যা। যমুনার উপর সড়ক কাম রেল সেতু তাদের প্রতি জনক কন্যার প্রথম চ্যালেঞ্জ যদি হলে পদ্মা সেতু হবে সর্বশেষ।
নানামুখী ষড়যন্ত্র করেও জনক কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের চাকা থামাতে পারছে না। যেখানে সম্ভব না, সেখানে সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। তেমন একটি সম্ভাবনার নাম কালুরঘাট সেতু। বর্তমানের প্রত্যাশা, স্বপ্ন সম্প্রসারিত হোক পদ্মা থেকে কর্ণফুলী।
কর্ণফুলীর উপর কালুরঘাট সেত ু১৯৩১ সালে নির্মাণ হয়। এটি ব্রিটিশ বাংলার দ্বিতীয় প্রাচীন সেতু। সবচেয়ে প্রাচীন সেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১৯১৫ সালে নির্মাণ হয়। ১৯৫৮ সালে এই রেল সেতু দিয়ে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এটি এক লেইনের সেতু। ফলে পারাপারের সময়ে একদিক থেকে গাড়ি আসলে অপরদিকের যানবাহন থেমে থাকে। আবার রেল আসার সময়ে দু’দিকের যানবাহনকে থেমে থাকে। আজকালকার ব্যস্ত সময়ে মানুষ এই অপেক্ষাকে ভোগান্তি মনে করে। এসব ভোগান্তি দশকের পর দশক সয়ে যাচ্ছে বোয়ালখালি থানার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় ৯১ বছরের বেশি পুরাতন এই সেতু দিয়ে পারাপার যত বিপদ-সংকুল হোক না কেন টোল দিতে এ জনপদের ভুক্তভোগী মানুষ ভুল করে না। টোলের অঙ্কও নিদেনপক্ষে কম না। ফলে ইজারার জন্যে প্রভাব প্রতিপত্তির কথা শোনা যায়। সেতুটা অনেকবার মেরামত হয়েছে। কিন্তু আধুনিকায়ন হয়নি। ডবল লাইন করা সম্ভব না। বোয়ালখালি নামের প্রায় ১১২ বছরের প্রাচীন জনপদটির মানুষের জরুরি প্রয়োজনে ওটাকে রেল-কাম সড়ক সেতু করা হয়েছিল। শত বছরের প্রয়োজনটি বর্তমানে এসে আরও বেশি অনিবার্য হয়ে পড়েছে। দশকের পর দশক চিৎকার করেও বোয়ালখালীর মানুষ এই অনিবার্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। এই বঞ্চনার কারণ রাজনৈতিক। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত বোয়ালখালির বেশির ভাগ মানুষ লেখাপড়া, জ্ঞান-গরিমায় উন্নত হলেও তারা ঐতিহাসিকভাবে প্রগতিশীল-প্রতিবাদী-স্টাব্লিসমেন্ট বিরোধী। এরা বৃটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। পাকিস্তান আমল থেকে অধিকাংশ সময় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে বহিরাগতরা। তারা বোয়ালখালির উন্নয়নের কথা কখনও উপলব্ধিতে আনেনি। কখনও কোনো মন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি প্রতিবাদী চেতনার কারণে। ১৩৭ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি আয়তনের বোয়ালখালী চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে হলেও উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিবেচনায় সার্বিক অর্থে একটি অবহেলিত, অনুন্নত জনপদ।
লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদীটি মূলত শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে বোয়ালখালীর একটি ব্যবধান তৈরি করে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কালুরঘাট রেল সেতু ছিল এই ব্যবধান ঘুচানোর একমাত্র অবলম্বন। কালুরঘাটে সড়ক কাম রেল সেতু হলে বোয়ালখালি নামের অবহেলিত জনপদটি সার্বিক অর্থে জেগে উঠবে। এখানে ফসলী জমির পরিমাণ ১৬ হাজার একরের বেশি। এখানে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি কলেজ আছে, এর মধ্যে একটি সরকারি কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খামার, সমবায় সমিতি আছে। এককথায়, বলা যায়, এ জনপদ অর্থনীতির একটি সূতিকাগার। বোয়ালখালি থানার পূর্বাঞ্চলের বনভূমি যা ঊহফ ড়ভ ঃযব বধংঃ হিসাবে পরিচিত, এর প্রায় ৫০ হাজার একরেরও বেশি পরিমাণ জমি অব্যবহৃত। এই অব্যবহৃত জমি সরকার একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড হিসাবে শিল্প-উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করতে পারেন। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম হবে। কিন্তু এজন্য দরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এক্ষেত্রে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর ভূমিকা অপরিসীম। একই সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া এবং মোহরার জনগণও সুফল ভোগ করবে। ফলে বর্তমানে তা গোটা চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর দাবিটা অনেকদিনের। প্রয়াত জননেতা জামাল উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ কালুরঘাট সেতু সংস্কার এবং নির্মানের দাবি উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে সংসদ নির্বাচনে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিষয়টি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনাকে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে প্রদত্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এ দাবি উপস্থাপন করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ঢাকাস্থ বোয়ালখালী সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ন্যাম ভবনে এক সভায় দাবিনামার লিফলেট প্রদর্শন করে সত্যতা স্বীকার করেন্‌। তিনি এখনও সরকারি পর্যায়ে দেন-দরবার করে চলেছেন। ২০১০ সালে কর্ণফুলীর তৃতীয় সেতু উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, কালুরঘাটে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেবেন, একসঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলতে পারবে এমন সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে বর্তমান সময়ে দাবিটা জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনতে ভূমিকা রেখেছে সাবেক ছাত্রনেতা জনাব আবদুল মোমিনের নেতৃত্বে ‘বোয়ালখালি-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ’। ২০১৪ সাল থেকে তাঁরা এ ব্যাপারে সোচ্ছার হন। মিছিল, সমাবেশ, পথসভা, অনশন, সেমিনার, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানাভাবে তাঁরা দাবিটাকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় নিয়ে আসেন।
সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছে, পদ্মা সেতুর আদলে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছে কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী, সেতুর ওপরে থাকবে দুই লেইনের সড়ক এবং নিচে থাকবে দুই লেইনের রেল লাইন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ওপর বিদ্যমান কালুরঘাট সেতু থেকে ৭০ মিটার উত্তরে নতুন সেতুটি নির্মাণ হবে। প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। সম্ভাব্য দাতা সংস্থা কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত এঙ্মি ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান ইওসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বা দোহা প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে। সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৩ সালে সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতুটি নির্মাণ শেষ হবে ২০২৭ সাল নাগাদ। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৭৮০ মিটার। এর মধ্যে নদীর বাইরে স্থলপথে থাকবে ৫ দশমিক ৬২ মিটার। সেতুর ওপরের ভাগে থাকবে সড়ক এবং নিচে রেল লাইন। উভয়ই হবে দুই লেইনের। সড়কে হেঁটে পারাপারের জন্য দুইপাশে আলাদা লেন থাকবে। কর্ণফুলী নদীপথে সেতুর উপরের অংশ পার হয়ে স্থলভাগে সড়ক হবে অর্ধবৃত্তাকারে। এর এক প্রান্ত থাকবে চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথার অদূরে জানে আলী হাট রেলস্টেশন পার হয়ে মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। আরেক প্রান্ত থাকবে বোয়ালখালী অংশে বিদ্যমান কালুরঘাট সেতুর সংযোগ সড়কের সঙ্গে, তবে বর্তমান সংযোগ থেকে কিছুটা দূরে। ডবল রেল লাইনের একাংশ শুরু হবে জানে আলী হাট থেকে, এর অপর অংশ থাকবে বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডী রেলস্টেশনে।
আমি চিরকালই আশাবাদী মানুষ। এবারও আশা করছি, পত্রিকার এই খবর সত্য হবে। অচিরেই স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক মোড়লদের নানান সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনক কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মতো কর্ণফুলী নদীর উপর দ্বিতল সেতুর উদ্বোধন করে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দুয়ার সম্প্রসারণ করে প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যজন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবায়তুশ শরফ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহছুফি মীর মোহাম্মদ আখতার
পরবর্তী নিবন্ধপশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ নিচ্ছেন না অমর্ত্য সেন