স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল প্রিয় আজাদী

রুমানা নাওয়ার | মঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদী আমাদের ভালোবাসার নাম। ভোরের সূর্য উঠার সাথে সাথে যার সাথে আমাদের যোগাযোগ সে-তো দৈনিক আজাদী। চায়ের চুমুকের সাথে আজাদী চোখ বুলানো এখানকার মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস। এ অভ্যাস আজকের না। আমার পূর্ব পুরুষদের ও পুরনো অভ্যাসটা আমাদের মাঝে প্রবাহমান আজও। সে কবে কিশোর কালে আমার প্রথম কোন দৈনিকে লিখা তাও এ আজাদীতে। ছাপার অক্ষরে নিজের লিখা দেখে কী যে আনন্দ অনুভব হয়েছিল তা কেবল আমিই জানি। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া সেই কিশোরী মেয়েটির চোখে স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল প্রিয় আজাদী। সে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শিখিয়েছে আজাদী। অভিজাত মানুষের অভিজাত পত্রিকা এ আজাদী। আমার লেখালেখির যা কিছু অর্জন তা আজাদীর কল্যাণে। নতুনদের জায়গা দিতে এ পত্রিকা কখনো কার্পণ্য করে না। বরঞ্চ আগবাড়িয়ে সাহায্য করে। নতুনের আবাহনে আজাদী অদ্বিতীয়। চট্টগ্রামের প্রথিতযশা যত লেখক কবি সাহিত্যিক সবার লিখালিখির প্রথম ইনস্টিটিউট এ পত্রিকা। তাই লেখক পাঠক সবারই প্রথম পছন্দ প্রথম ভালো লাগা দৈনিক আজাদী। আর দৈনিক আজাদীও বুঝে লেখক পাঠকের চাহিদা, মন ও মনন। সে ধারা অব্যাহত রেখে আজাদী পা দিলো ৬২ তে। জনপ্রিয়তার কমতি নেই এ পত্রিকার। বরঞ্চ সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পরিবর্তনের দিকে। থেমে থাকা নয় এগিয়ে যাওয়াই দৈনিক আজাদীর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে আজাদী র এ পথচলা আরও বেগবান ও সুন্দর হোক। একজন লেখক এবং পাঠক হিসাবে ৬২ তম বর্ষে পদার্পণে এ শুভকামনা নিরন্তর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি ও ঔপন্যাসিক ওয়াল্টার স্কট
পরবর্তী নিবন্ধচির ঋণী চির কৃতজ্ঞ প্রিয় আজাদী