স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণার মাঝে প্রতিপক্ষের খুদে ভক্তের সান্ত্বনা

বুকে টেনে নিলেন নেইমারও

| রবিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর মাঠেই ভেঙে পড়েন নেইমার। তখন তিনি শিশুর মতো কাঁদছিলেন। সতীর্থরা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন তাকে। সে সময়ই দৌড়ে তার দিকে এগিয়ে যায় দুটি শিশু। গায়ে তাদের ক্রোয়েশিয়ার জার্সি।

মাঠের মাঝখানে দানি আলভেজের কাঁধে মাথা রেখে তখন কাঁদছিলেন নেইমার। স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় বিদ্ধ সতীর্থকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন আলভেজ। তাদের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন ব্রাজিল দলের দুই নিরাপত্তাকর্মী। শিশু দুটিকে নেইমারের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে তাদের আটকান নিরাপত্তাকর্মীরা। মেয়েটি একটু দূরে দাঁড়িয়ে গেলেও, ছেলেটি সাহস করে আরও একটু কাছে চলে যায়। খানিকটা দূর থেকেই ডাকে নেইমারকে। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন নেইমার। নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা দিতে বারণ করেন। ছেলেটি আসলে পরাজিত নায়ককে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিল। সে ক্রোয়েশিয়ার হলেও, তার প্রিয় ফুটবলার নেইমার। তাই পরাজয়ের পর দেশের ব্যবধান মুছে সে পৌঁছে গিয়েছিল নেইমারের কাছে। নেইমারও তাকে বুকে জড়িয়ে নেন। কপালে চুম্বন করেন। কড়া নিরাপত্তা এড়িয়ে ছেলেটি কীভাবে পৌঁছে গেল নেইমারের কাছে? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে।

নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের মাঠের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য তখনই শিশুটি মাঠে ঢুকে। তার বাবার নাম ইভান পেরিসিচ। ব্রাজিলকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার

এ অভিজ্ঞ ফুটবলার। ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ তৈরির অন্যতম কারিগর পেরিসিচের ছেলে লিওনার্দো নেইমারের ভক্ত। মাঠের মাঝখানে নিজের প্রিয় ফুটবলারকে কাঁদতে দেখে সে এগিয়ে যায়। নেইমারও সৌজন্যের খামতি রাখেননি। প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারের সন্তানকে কাছে টেনে নেন। টান টান লড়াইয়ের শেষে এক অন্য রকম মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন ফুটবলপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, ম্যাচ শেষে পেরিসিচও সান্ত্বনা জানিয়ে যান হতাশ নেইমারকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচোখের জলেই বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেন রোনালদো
পরবর্তী নিবন্ধআইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য : অর্থমন্ত্রী