স্বপ্নপূরণের পথে আরো এগিয়ে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ জুন, ২০২১ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। সমান তালে চলছে লাইন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিংসহ স্টেশন নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে কক্সবাজার অংশে দুই কিলোমিটার রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে আইকনিক স্টেশন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের ৫৯ শতাংশ কাজ। অবশিষ্ট ৪১ শতাংশ কাজ শেষ হলেই আগামী বছর চট্টগ্রাম থেকে বহুল কাক্সিক্ষত ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে। কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছি। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি বেশ ভালো। ২০২২ সালের শেষের দিকে ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এখন পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানিয়ে প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, এখন এক সাথে ছোট-বড় কালভার্ড, ব্রিজ এবং লাইনের কাজ, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের মেয়র ২০২২ জুন পর্যন্ত। বর্তমান কাজের আগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে ২০২২ সালের শেষের দিকে ট্রেন চলতে পারবে। প্রকল্প পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম-থেকে রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘুমধুম পর্যন্ত বাকি ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত কক্সবাজার সদরে একটি আইকনিক স্টেশনসহ মোট ৯টি স্টেশন হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান। স্টেশনগুলো হল-দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ (ঈদগাঁও), রামু ও কক্সবাজার। এছাড়াও রয়েছে চারটি বড়, ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। এর বাইরে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। রেললাইনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টার লক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। এই লক্ষ্যে রেল মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার পুরনো রেল লাইন সংস্কারেরও উদ্যোগ নিয়েছে। পুরনো কালুরঘাট সেতু বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আবার সংস্কার করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় আরো এক চিকিৎসকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা