কৃষ্ণচূড়ার সব পাতা একে একে ঝরে পরে
খাঁ খাঁ ন্যাড়াপোড়া,
খটখটে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে নির্জীব অনড় অচল,
বাতাসেও ভাঙেনা আড়মোড়া।
হঠাৎ একপশলা বৃষ্টি, দূর করে দিল সব বিবর্ণতা,
রুদ্র ভঙিমায় বিরক্তিকর চাহনি, আর কাটকোট্টা ব্যর্থতা।
লক লক করা কঠিন শাখার পাঁজর থেকে
বেরিয়ে আসছে কচি কচি সবুজ পাতা,
যেন পুরো শরীর জুড়ে বিনিসুতোর মালায় গেঁথে
একটু একটু যত্ন করে সাজের কমনীয়তা।
জীর্ণ শীর্ণ ঐ বৃদ্ধ চিত্রকর, পটুয়ার রং তুলিতে
এঁকেছিল জীবনের কত কথা, ব্যথা, ব্যর্থতা,
প্রেম আর ভালোবাসার ফ্রেমে
সবচেয়ে প্রিয় যে ছবিটি আঁকতে চেয়েছিল একান্তে।
সে কি কথা বলছে ঐ কৃষ্ণচূড়ার শান্ত রূপের সাথে?
পাঁজর ভাঙা কুঁড়িপুটদের মত বের হয়ে আসতে কি চায়!
বুকের ভিতর থেকে সব না বলা কথা,
না পাওয়া স্বপ্ন রোদ– ছায়া মায়ায় দিনান্ত বেলায়।
কী যেন বলেই যাচ্ছে বিড়বিড় করে চিত্রকরের নিস্প্রভ দৃষ্টি–
সে কি বলছে, স্বপ্নকুঁড়িগুলো এভাবে জেগে উঠুক,
আবার সে আঁকবে সবচেয়ে প্রিয় ছবিটি!