স্বপ্ন দেখি শয়নে জাগরণে। স্বপ্নে গা ভাসাই। নতুন বছর আসে। সম্ভাবনা দেখি। স্বপ্ন বুনি মনের কোঠায়। সংকট আছে, পিছু ছাড়েনা কখনও। সর্বময় সংকট! হিসেবের খেরোখাতা নিয়ে বসি রাত- বিরাতে। কপালের রেখা গুণি। এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি। সময় বহে। সময় কাটে। বদলে যায় দিন- রাত। ধুলোসমেত বৃক্ষ আরো সজীব হয়ে ওঠে। ডালপালাগুলো গা ঝাড়া দেয়। থমকে যাওয়া পথের আবিষ্কারের নেশা মাথা থেকে কিছুতেই নামেনা। একাই ব্রত করি। একলা চলোরে…
পথভ্রান্ত পথিক ও একদিন মলিনতাকে বিদীর্ণ করে জাগবে নব রূপে। বুকে আশা পোষণ করি। আলোহীন মানুষ আলোর আশায় পথে নামবে। পেছনে কথা বলা মানুষেরা ভুল শুধরে শুদ্ধ হবে আগাগোড়া। মিথ্যে বলে ফেনা তোলা মানুষেরা তাদের রূপ পাল্টাবে সময় মতো। ভালোবাসি সময়ের সাথে পাল্লা দিতে। মিথ্যে মায়াকে অগ্রাহ্য করি। আপাদমস্তক সাধারণ হওয়াটাকে জীবনের ব্রত ভাবি। শূন্য দিয়ে শুরু করে শূন্যতেই থামি। আশ্চর্য হই! শুধুই পথ চলি। বেহিসেবি দিনগুলো ভেংচি কাটে আমায়। মুখের হাসি মুখেই রাখি। সম্বল এটাই। সামর্থ্য ও…ধুলো জড়ানো পথে নিয়ম করে পা ফেলি। অনিয়মকে দূরে ঠেলে নিয়মের সূত্র খুঁজি। ভবের হাটের শূন্য মন্দিরে সেবক খুঁজি মনে মনে। নিজের সাথে মিতালি করি। সবাই যদি এক হতো, বেঁচে থাকাটাই হতো অর্থহীন…কৌতূহলী চক্ষুগুলোর ওঠানামা পরখ করি। ভয় নেই, শঙ্কা নেই! অসত্যকে ধিক্কার জানাই। অস্থিরতায় মগ্ন থাকুক মন্দলোকের অন্তর। আনন্দের আতিশয্যে আত্মহারা আমি প্রতিনিয়ত নিজেকেই শুধরাই। কী পেলাম, কী পেলাম না— আক্ষেপ নেই মোটেই। হিসেবের খাঁচায় আবদ্ধ হতে চাই না আমি। শান্তি খুঁজি অশান্তির মাঝেও। গড়ি, রচি নিজেকে।। স্বপ্নবাজ আমি। প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার ভয়কে তুচ্ছ করে স্বপ্নই দেখি।