কক্সবাজারে ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ৩টি আসন থেকে ভোট বর্জন করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর, বশর, মিজান সাঈদ ও জাপার নুরুল আমিন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে প্রথম ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কক্সবাজার–৪ (উখিয়া–টেকনাফ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। কিন্তু যেসব কেন্দ্রে আমি ভোট পাব সেসব কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে, উখিয়ার জালিয়াপালং, রত্মপালং ও রাজাপালং ইউনিয়ন থেকে আমার সব এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একই সঙ্গে ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট প্রদান ও কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বেলা ৩ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নুরুল বশর। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, জালভোট, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও নজিরবিহীন অনিয়ম প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষপাতিত্ব করে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তাই আমি এই ভোট বর্জন করলাম।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও বার্তায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কক্সবাজার–১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। অনেক প্রিসাইডিং অফিসারকেও আহত করা হয়। তাই আমি ভোট বর্জন করলাম। এসময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে চকরিয়া–পেকুয়াবাসীর কাছ থেকে ক্ষমা চান।’
এদিকে কক্সবাজার–৩ (সদর–রামু–ঈদগাঁও) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাইকোর্টের আওয়ামী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ভোট বর্জন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার বেলা ২ টার দিকে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার ৩ আসনে ১৬৭ টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে ১৩০ টি কেন্দ্র দখল করে ব্যালেট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারা হচ্ছে।’ বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ভোট স্থগিত করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোট বর্জন করেন।