উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমার বিধান তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে প্রজ্ঞাপন জারি হলেই বিষয়টি কার্যকর হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একগুচ্ছ প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার ভেটিং হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, আমাদের আরও কিছু প্রস্তাব ছিল সবগুলোই ভেটিং হয়ে এসেছে। এখন সেগুলো আমরা আবার দেখে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। তারপর প্রজ্ঞাপন জারি হবে। খবর বাংনিউজের।
সমপ্রতি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার বেশ কিছু বিধি সংশোধনের প্রস্তাব করে ইসি।
এগুলোর মধ্যে– চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করার বিধান; জামানত বাজেয়াপ্তের ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ প্রাপ্তি; অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল; প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একটি নির্বাচনী ক্যাম্প; পোস্টার, ব্যানার সাদা–কালো অথবা রঙিন করা; প্রতীক বরাদ্দের আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার; পাঁচ জনের বেশি কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ না করা; নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি না করা; প্রচারে একটির বেশি শব্দযন্ত্র বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করা; শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের বেশি না থাকা; প্রচারে প্লাস্টিকের ব্যবহার না করা; সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ; চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্যদের এক লাখ টাকা; হিজড়া পরিচয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ; নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোট গ্রহণে কমিশনকে ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাব করে ইসি।